কিশোর গ্যং লিডার ও মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের ৫ ঘন্টা পর ঘুষ নিয়ে ছেরে দেয়ার তথ্যের সত্যতা জানতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুলা মডেল থানার এস আই কাজী রেজাউলের সাথে মোঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন সব সাংবাদিকরাই চাদাবাজী করে আপনি আমার সাথে সাংবাদিকগিরি করেন, আজেবাজে কথা বলবেন না, আমি কোন টাকা নেইনি আপনি পুলিশকে ব্লেকমেইল করার চেস্টা করছেন, আপনার বিরোদ্দেও চাদা দাবীর অভিযোগ রয়েছে বিষয়টা আমি দেখতেছি।
সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৮সেপ্টেম্বর )সকাল ১১ টায় ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে ফতুল্লা মডেল থানার এস আই কাজী রেজাউল হক মাদক ব্যবসায়ী অয়ন সহ তার ৩ সহযোগীকে ৫০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটক করে। আটকের পর তাদেরকে থানায় না নিয়ে পরিবারের লোকজনকে সংবাদ দেয় পরে ঘটনাস্থলে পরিবারের লোকজন উপস্থিত হলে তাদের ছেড়ে দিবে বলে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। এ সময় পরিবারের লোকজন মোটা অংকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাৎক্ষনিক মাদক ব্যবসায়ীদের পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে পাগলা পেয়ারাবাগান সহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাদের গাড়িতে আটক রেখে চলে পরিবারের সাথে দর কষাকসি ।পরবর্তীতে বিকাল ৪ টার দিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে উৎকোচ গ্রহনের মাধ্যমে ৪ মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে মূলহোতা অয়ন,নাইম ও রাজুকে ছেড়ে দিয়ে তাদের সহযোগী তৌফিক কে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছেন বলে জানা গেছে।
মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানায় অয়ন নিজে একজন কিশোর গ্যং লিডার মাদক সেবী এবং মাদক ব্যবসায়ী, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ফতুলা মডেল থানাধীন হিমাচল মাঠের গলি, বরফ কলের গলি, সুপারস্টার গলি ও স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় মাদক বিক্রি করে ।তার বিরোদ্ধে ফতুলা মডেল থানার একাধীক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে অয়নের নানা দেলোয়ার মোল্লার সাথে মোঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার নাতি অয়নের কাছে কোন মাদক পাওয়া যায়নি তাই তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি তাই আমাকে সম্মান করেছে তাই আমার কাছে চা পান খাওয়ার জন্য টাকা চেয়েছে তাই আমি তাকে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছি ।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নুরে আযম মিয়া (পি পি এম) জানান, এক সাংবাদিক আমাকে বিষয়টি ফোনে জানালে আমি এ বিষয়ে এস আই কাজি রেজাউলকে জিজ্ঞাসা করিলে আমাকে জানায় আমি চার জনকে মাদকসহ আটক করেছিলাম। আসল মাদক ব্যবসায়ীকে চারজনের মধ্যে সেটা জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য একটু সময় লেগেছে, পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানা যায় মাদক ব্যবসায়ী হলো তৌফিক। পরে মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।