সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পানিতে তালিয়েছে চরাঞ্চল। বসত ভিটা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পানি প্রবেশ করেছে।
এরই মধ্যে জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নিম্নভূমি তলিয়ে গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। দফায় দফায় পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলে ফসলের চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক হাসানুজ্জামন বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে এলাকায় যমুনা নদীর পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৯৯ মিটার, যা গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কাজীপুর মেঘাই পয়েন্টে গতকাল বুধবার সকালে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭৭ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ভারতের আসামে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ও কাজীপুর পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পানি আরও দুই তিন দিন পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান বলেন, চৌহালী উপজেলা তিনটি নিচু এলাকায় পানি ঠুকেছে। বন্যা কবলিত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত আছে। জরুরি অবস্থা বিবেচনায় সেগুলো সরবরাহ করা হবে